শিশুরা বড়দের মত শান্তশিষ্ট হয়ে বসে থাকবে, খেলাধুলা, হৈ চৈ করবে না, ভাবা যায়? বরং ছোট শিশু একটু দুষ্টুমি করবে, সারা দিন ছুটোছুটি করে মাতিয়ে রাখবে সবাইকে এটাই স্বাভাবিক।শিশুদের এক জায়গায় বই নিয়ে বসিয়ে রাখা মুশকিল। কিছুতেই পড়তে চায় না। লেখা-পড়া করতে বললেই নানা বায়না জুড়ে দেয়।বরং সারাদিন খেলা নিয়ে মেতে থাকতেই পছন্দ বেশিরভাগ শিশুদের। শিশুদের দোষ দিয়ে লাভ কি বলুন, যেখানে বড়রাই অপছন্দের কাজকে এড়িয়ে যেতেই পছন্দ করে? শিশুকে মনের বিরুদ্ধে জোর করে সারাক্ষণ বই নিয়ে বসিয়ে রাখলেই হবে না। এতে করে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয় আর পড়াশোনাকে শিশু আরও বেশি অপছন্দ করতে শুরু করে। এরচেয়ে বরং আমরা আজকে জানি কীভাবে খেলাকেও শিশুর শিক্ষা ও মানসিক বিকাশে কাজে লাগানো যায়। বাচ্চার মেধার ভিত মজবুত করতে হলে তাকে খেলাধুলা ও হাসি আনন্দের মধ্য দিয়ে একটু একটু করে বুদ্ধিমান ও মেধাবী করে তুলতে হবে।
গবেষকদের মতে, প্রথম জীবন থেকেই শিশুর শরীরের হয় বৃদ্ধি আর মনের হয় বিকাশ। শরীরের বৃদ্ধি মানে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের পরিবর্তন ও আকৃতি বৃদ্ধি পাওয়া। অন্য দিকে মনের বিকাশ মানে শিশুর জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা, আবেগ ও অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করার দক্ষতা অর্জন করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস